ইলিয়াস — নবম শ্রেণির প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ, SAQ, রচনাধর্মী)
ইলিয়াস — নবম শ্রেণির প্রশ্ন ও উত্তর
লেখক: লিও তলস্তয় · অনুবাদ: মণীন্দ্র দত্ত · পাঠ: নবম শ্রেণি বাংলা
১) MCQ (উত্তরসহ)
- গল্পের লেখক কে?লিও তলস্তয়
- অনুবাদক কে?মণীন্দ্র দত্ত
- ইলিয়াস কোথায় বাস করত?উফা প্রদেশে (বাসকির)
- ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম কী?শাম-শেমাগি
- “সম্পন্ন মানুষ দুটি” — কারা?ইলিয়াস ও তার স্ত্রী
- ‘আমাদের সঙ্গে একটু কুমিস পান করবে’ — কে, কাকে বলেছিল?মহম্মদ শা ইলিয়াসকে
- কুমিস কী?ঘোটকীর দুধের পানীয়
- ইলিয়াস ধনী হয়েছিল—৩৫ বছরের পরিশ্রমের পরে
- “কখনো সুখ পাইনি”—কখন?যখন ধনী ছিল
- ইলিয়াস সর্বহারা হয়—কবে?৭০ বছরে
- ভালো ঘোড়াগুলো কে চুরি করেছিল?কিরবিজরা
- বড় ছেলে মারা যায়—কীভাবে?মারামারির ঘটনায়
- ছোট ছেলেকে কী দিয়ে আলাদা করে দেয়?একটা বাড়ি ও কিছু গোরু–ঘোড়া
- বাবা মারা গেলে ইলিয়াস কেমন ছিল?না ধনী, না দরিদ্র
- বাবার সম্পত্তি কী ছিল?৭ ঘোটকী, ২ গরু, ২০ ভেড়া
- অতিথিরা কার বাড়িতে এসেছিল?মহম্মদ শার
- অতিথিদের মধ্যে কে ছিলেন?মোল্লাসাহেব
- শীতে কী মজুত রাখা হত?খড়
- অতিথি বেশি হলে কী জবাই করা হত?ঘোটকী
- অতিথি কম হলে কী জবাই করা হত?ভেড়া
- “বোলবোলাও” শব্দের অর্থ—হাঁকডাক, প্রতিপত্তি
- “বাবাই” বলে কাকে ডাকা হয়?বৃদ্ধ ইলিয়াসকে
- ‘অতিথিরা বিস্মিত’—কেন?দরিদ্র অবস্থাতেই আসল সুখ পেল
- “বন্ধুগণ হাসবেন না”—কার উক্তি?ইলিয়াস
- কেন ‘না’ হাসতে বলল?এটা তামাশা নয়; মানুষের জীবন সত্য
- ইলিয়াসের বোঁচকায় কী ছিল?লোমের কোট, টুপি, বুট–জুতো
- ইলিয়াস মোল্লাসাহেবের কাছে কী বলে?ধনসম্পদে সুখ নেই; দরিদ্র জীবনে সুখ আছে
- মোল্লাসাহেব কী মন্তব্য করেন?“জ্ঞানের কথা”
- ‘ইলিয়াস ভাগ্যবান’—কে বলত?প্রতিবেশীরা
- ইলিয়াস কোন জনগোষ্ঠীর মানুষ?বাসকির
- “এখনকার দুরাবস্থার কথা ভাবে কি খুব কষ্ট হচ্ছে?” — কারা, কাকে?অতিথিরা ইলিয়াসের স্ত্রীকে
- দুর্দশা চরমে নেমে গেল—কখন?ইলিয়াসের ৭০ বছর বয়সে
- “লোকটিকে কখনো চোখে দেখেনি…” — কার উক্তি?অতিথির
- “সুখ খুঁজে খুঁজে…” — কত বছর?৫০ বছর
- “এ বিষয়ে তিনিই পুরো সত্য বলবেন”—কে?শাম-শেমাগি
- “এই তার যা কিছুই বিষয়-সম্পত্তি”—কার?ইলিয়াসের
- “সকলেই তাকে ঈর্ষা করে”—কেন?তখন তার বড় প্রতিপত্তি (বোলবোলাও) ছিল
- “ইলিয়াস, তুমি আমার বাড়ি এসে থাকো”—কে বলেছিল?মহম্মদ শা
- বড়লোক হওয়ার পরে কারা আয়েশি হয়?ইলিয়াসের ছেলেমেয়েরা
- “বুড়ো–বুড়িকে রেখে লাভ”—কেন?তারা কাজ খুব ভালো করত
২) SAQ (সংক্ষিপ্ত উত্তর)
- ছোট ছেলেকে বাড়ি থেকে কেন তাড়াল?বৌমার মুখরা স্বভাব ও অবাধ্য আচরণের জন্য; পরে তাকে একটা বাড়ি ও কিছু পশু দিয়ে আলাদা করল।
- সম্পত্তিতে টান পড়ল কেন?ছোট ছেলেকে আলাদা করে বাড়ি–পশু দেওয়ায়।
- বহু ভেড়া কীভাবে মারা গেল?মড়কে।
- ৭০ বছরে কী কী বিক্রি করল?পশমের কোট, কম্বল, জিন, তাবু, গৃহপালিত পশু।
- বৃদ্ধ বয়সে ইলিয়াস কোথায় থাকত?অপরিচিতদের বাড়িতে থেকে কাজ করে খেত।
- শাম-শেমাগির কাজ কী ছিল?ঘোটকীর দুধ দোয়া ও কুমিস বানানো।
- মহম্মদ শা ইলিয়াসকে কী কাজ দেন?গ্রীষ্মে তরমুজখেত দেখা, শীতে গোরু–ঘোড়া খাওয়ানো।
- তারা কীসের মতো কাজ করত?ভাড়াটে মজুরের মতো।
- অতিথিদের জন্য কী প্রস্তুত থাকত?কুমিস, চা/শরবত, মাংস; প্রয়োজনে ভেড়া বা ঘোটকী জবাই।
- অতিথিরা শাম-শেমাগির কাছে কী জানতে চেয়েছিল?আগেকার ধনী জীবনের সুখ আর বর্তমান দারিদ্র্যের কষ্ট সম্পর্কে।
- ধনী অবস্থায় কেন দুশ্চিন্তা ছিল?মজুরদের নজরদারি, জন্তুর ক্ষতি–ভয়, লোকনিন্দা।
- দরিদ্র অবস্থায় কেন সুখ পেয়েছিল?পরিশ্রমী, দুশ্চিন্তাহীন, শান্ত, ঈশ্বরচিন্তাপূর্ণ জীবনযাপন।
- “ওর তো মরবার দরকার নেই”—কার প্রসঙ্গে?ধনী ইলিয়াসের; কারণ তার কোনো কিছুর অভাব ছিল না।
- অতিথিরা কেন বিস্মিত হল?ধনী অবস্থায় সুখ ছিল না, দরিদ্র অবস্থায় সত্যিকারের সুখ পেয়েছে।
- মোল্লাসাহেব কী মন্তব্য করেন?ইলিয়াসের বক্তব্যকে “জ্ঞানের কথা” বলেন।
- মহম্মদ শা ইলিয়াসের স্ত্রীকে কী কাজ দেন?ঘোটকীর দুধ দোয়া ও কুমিস বানানো।
- “ভাড়াটে মজুরের মতো কাজ”—কোথায়?মহম্মদ শার বাড়িতে।
- “ক্রমে ক্রমে সব সয়ে গেল”—কী সয়ে গেল?কঠোর পরিশ্রমের জীবনটাই সয়ে যায়।
- “তা ছাড়া তারা অলস নয়”—কারা?ইলিয়াস ও শাম-শেমাগি।
- “এই তার যা কিছু বিষয়–সম্পত্তি”—কি কি?৭ ঘোটকী, ২ গোরু, ২০ ভেড়া।
- “দূরদূরান্ত থেকে অতিথিরা…” — কার সঙ্গে দেখা করতে আসত?ইলিয়াসের সঙ্গেই।
- ইলিয়াসের সন্তান কতজন?দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
- গরিব অবস্থায় ছেলেরা কীভাবে সাহায্য করত?গোরু–ভেড়া চরিয়ে সাহায্য করত।
- “তারা আয়েশি হয়ে উঠল”—কারা?ইলিয়াস ধনী হলে তার ছেলেরা।
- ‘অন্যদিকে দুশ্চিন্তা’—কিসের আশঙ্কা?নেকড়ে/চোরে জন্তুর ক্ষতি হবে—এই ভয়।
- ইলিয়াস কোথায় থাকত?উফা প্রদেশে।
- তিনি কোন জনগোষ্ঠীর?বাসকির।
- “কথা বলবার সময় নেই”—কখন?ধনী অবস্থায় কাজের চাপে।
- “সারারাত ঘুমই ছিল না”—কেন?জন্তুর আশঙ্কায়/পাল রক্ষার দুশ্চিন্তায়।
- ‘বাবাই’ কাকে বলা?বৃদ্ধ ইলিয়াসকে।
- লেখক–অনুবাদক কারা?লিও তলস্তয়; মণীন্দ্র দত্ত।
৩) রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
ক) “ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ল”—কীভাবে?
- বিয়ের পর বাবা মারা গেলে ইলিয়াস ছিল না ধনী, না দরিদ্র—সম্পত্তি অল্প।
- ৩৫ বছরের পরিশ্রমে বিপুল পশুপাল, জমিজমা ও প্রতিপত্তি (বোলবোলাও) অর্জন করে।
- ছেলেমেয়েরা আয়েশি; ছোট ছেলেকে আলাদা করে বাড়ি–পশু দেওয়ায় সম্পত্তিতে টান পড়ে।
- মড়কে ভেড়ার মৃত্যু; কিরবিজদের হাতে ভালো ঘোড়া চুরি।
- ক্রমে ক্রমে সম্পদ ক্ষয় হয়ে ৭০ বছরে প্রায় সর্বহারা।
খ) ইলিয়াস চরিত্রচিত্রণ
- পরিশ্রমী, অতিথিপরায়ণ, দায়িত্বশীল; প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা নেই।
- ধনী–দরিদ্র দুই অবস্থার অভিজ্ঞতা থেকে জীবনদর্শন অর্জন করে।
- মূল উপলব্ধি: ধনসম্পদে নয়—দুশ্চিন্তামুক্ত, পরিশ্রমী, শান্ত জীবনে আসল সুখ।
- মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি—অন্যের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতেও প্রস্তুত।
গ) ‘সুখ’ সম্পর্কে ইলিয়াস–দম্পতির উপলব্ধি
- ধনী অবস্থায় অবিরাম দুশ্চিন্তা, লোকনিন্দার ভয়, সময়ের অভাব—সুখ অনুপস্থিত।
- দারিদ্র্যে সংযম, শান্তি, ঈশ্বরচিন্তা—সেখানেই প্রকৃত সুখের সন্ধান।
- এই জীবনদর্শনকেই মোল্লাসাহেব বলেন—“জ্ঞানের কথা”।
ঘ) মহম্মদ শার চরিত্রচিত্রণ
- সহৃদয় ও উদার—ইলিয়াস–দম্পতিকে আশ্রয় ও কাজের সুযোগ দেন (গ্রীষ্মে তরমুজখেত, শীতে পশুপাল)।
- ব্যবহারিক বোধ—“বুড়ো–বুড়িকে রেখে লাভ”—কর্মদক্ষতা চিনে কাজ ভাগ করে দেন।
- সমাজবোধ—অতিথিদের সামনে ইলিয়াসের জীবনশিক্ষা তুলে ধরে সঠিক বোধ ছড়ান।