বোঝাপড়া কবিতার সকল প্রশ্ন ও উত্তর
টেবল অফ কন্টেন্ট
১.১) জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন?
উত্তর: ভারতী ও বালক পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন।
১.২) ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশে তাঁর লেখা গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হয়?
উত্তর: বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “আমার সোনার বাংলা” গানটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হয়।
২.১) "সেইটে সব চেয়ে শ্রেয়" — কোনটি সব চেয়ে শ্রেয়?
উত্তর: সত্যকে সহজভাবে মেনে নেওয়াটাই সবচেয়ে শ্রেয়।
২.২) "ঘটনা সামান্য খুরুই" — কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: জীবনের ছোটখাটো মনোমালিন্য, বিভেদ, দোষ-গুণ, ভুল-ভ্রান্তি, যা জীবন চলার পথে সাধারণ ঘটনা।
২.৩) "তেমন করে হাত বাড়ালে / সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি" — উত্তিটির নিহিতার্থ স্পষ্ট করো।
উত্তর: মনের দ্বিধা দূর করে খোলা মনে, আন্তরিকতা ও সম্মান দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করলে জীবনে সত্যিকারের সুখ পাওয়া যায়।
২.৪) "মরণ এলে হঠাৎ দেখি / মরার চেয়ে বাঁচাই ভালো" — ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মানুষ বিশাদে পড়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারালেও, মৃত্যুর মুখোমুখি হলে জীবনের আকর্ষণ মনে হয়; জীবনের প্রতি মমত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে।
২.৫) "তাহারে বাদ দিয়েও দেখি / বিশ্বভুবন মস্ত ডাগর" — জীবনের কোন সত্য প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: কোনো এক জন চলে গেলেও কিংবা কোনো সম্পর্ক শেষ হলেও, পৃথিবী ও জীবন থেমে থাকে না; নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলে—এটাই চরম বাস্তবতা।
২.৬) কীভাবে মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে?
উত্তর: সুখ-দুঃখ, দুঃখ-বেদনা, পার্থক্য, দোষ-গুণ—সবকিছু সহজভাবে, নিরপেক্ষভাবে মনকে বোঝাতে হবে; যেন কোনো বিষয়েই মনে ভারানি জমে না থাকে।
২.৭) "দোহাই তবে এ কথার / হাত শীষা পায়রে সার" — কবি কোন কথার কথা বলছেন?
উত্তর: কবি পার্থক্য-ভেদের কথা বলেছেন; এসব বিষয় মন থেকে মুছে দিলে জীবনে শান্তি আসে, তাই ‘কথাটি শীষা সারাতে’ মানে এদের ভুলে যেতে হবে।
২.৮) কখন আঁধার ঘরে প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব?
উত্তর: যখন কেউ নিজের মনকে বোঝাতে পারে এবং আশা-আলোয় ভরসা রাখতে শেখে, তখন আঁধার ঘরে প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব হয়।
২.৯) "ভুলে যা ভাই, কাহার সঙ্গে / কতটুকুন তফাত হলো" — জীবনের চলার ক্ষেত্রে কোন পথে ঠিকানা মেলে?
উত্তর: পার্থক্য ভুলে উদার চিত্তে মিলেমিশে চলার মধ্যেই জীবনের সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া যায়।
২.১০) "অনেক ঝঞ্ঝা কাটিয়ে বুঝি / এলে সুখের বন্দরে" — ঝঞ্ঝা কাটিয়ে আসা বলতে কী বোঝো?
উত্তর: জীবনের নানা ঝড়, বাধা, সমস্যা অতিক্রম করেই মানুষ প্রকৃত সুখে পৌঁছাতে পারে—এটাই বোঝানো হয়েছে।
৩.১) "ভালো মন্দ যাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে" — তুমি কি কবির সঙ্গে একমত? জীবনে চলার পথে নানা বাধাকে তুমি কীভাবে অতিক্রম করতে চাও?
উত্তর: হাঁ, কবির সঙ্গে একমত। জীবনে ভালোমন্দ আসবে, নানা বাধা আসবে, সব মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই ঠিক। নিজেকে দৃঢ় রাখি, সমস্যাকে সহজভাবে গ্রহণ করি। এগুলো অতিক্রমের জন্য প্রত্যয় ও ধৈর্য ধরে নিজেকে মানিয়ে নিই।
৩.২) "মনেরে আজ কহ যে, / ভালো মন্দ যাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে" — কবির মতে তুমি কি কখনও মনের সঙ্গে কথা বলো? সত্যকে মেনে নেবার জন্য মনকে তুমি কীভাবে বোঝাও?
উত্তর: হাঁ, অনেক কষ্ট বা দুঃখের সময় মনের সঙ্গে কথা বলি। যেমন, পরীক্ষায় নম্বর কম পেলে মন খারাপ করি, কিন্তু বুঝি—এই যে নম্বরটা সত্য, চেষ্টা করলে আগামীবার ভালো হবে। তাই মনকে বুঝিয়ে শান্ত করি।
৩.৩) "তেমন করে হাত বাড়ালে / সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি" — ‘তেমন করে’র অর্থ এবং সুখের ইঙ্গিত কি?
উত্তর: ‘তেমন করে’ মানে আন্তরিকভাবে ও খোলা হৃদয়ে মেলামেশা করলে সুখ ও শান্তি আসে। কবি মনে করেন, হৃদ্যতায় এবং মিলনে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়।
৪. নিচের শব্দগুলির দল বিশ্লেষণ করে মুক্ত দল ও বদ্ধ দল চিনিয়ে করো
বদ্ধ দল: বোঝাপড়া, কষ্টকাট, পাঁজরখুলি, অনুষঙ্গাগার
মুক্ত দল: সত্যেরে, বিশ্বভুবন
মুক্ত দল: সত্যেরে, বিশ্বভুবন
৫. নিচের প্রতিটি শব্দের তিনটি করে সমার্থক শব্দ লিখো
- হৃদয়: চিত্ত, অন্তর, প্রজ্ঞা
- জয়: বিজয়, সাফল্য, জয়ধ্বনি
- ঝঞ্ঝা: ঝড়, বিপর্যয়, দুর্যোগ
- বড়: বিশাল, বৃহৎ, মহৎ
- সমাজ: সমাজতন্ত্র, সমাজব্যবস্থা, সমাজজীবন
- শূন্য: ফাঁকা, শূন্যতা, শূন্যস্থান
- আকাশ: গগন, নীলিমা, নভোমণ্ডল
৬. নিচের প্রতিটি শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করো
- আঁধার—আলো: আঁধার কেটে আলো ফোটে, ঠিক যেমন আশা ও নিরাশার মধ্যে পার্থক্য।
- সত্য—মিথ্যা: সত্য আর মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে শেখো।
- দোষ—গুণ: মানুষের মধ্যে দোষ-গুণ মিলেই সে পরিপূর্ণ।
- বাঁচা—মরা: জীবন মানে বাঁচা, মরা নয়।
- সুখ—দুঃখ: সুখ-দুঃখ একসঙ্গে আসে।
- আকাশ—পাতাল: তাঁদের আর্থিক অবস্থার আকাশ-পাতাল তফাৎ।

