📘 ছন্দে শুধু কান রাখো — সপ্তম শ্রেণি প্রশ্নোত্তর
সূচিপত্র
- অনধিক দুটি বাক্যে উত্তর
- বিশেষ্য ↔ বিশেষণ পরিবর্তন
- শব্দের ভিন্ন অর্থে ব্যবহার
- মূল শব্দ
- কবিতার ভাষা → সাধারণ ভাষা
- ‘কান’ শব্দের ব্যবহার
- সমার্থক শব্দ
- অর্থপার্থক্য
- সাপেক্ষ শব্দ
- সর্বনাম ও সম্বন্ধ পদ
- উদ্দেশ্য ও বিধেয়
- কারক-বিভক্তি
১. অনধিক দুটি বাক্যে উত্তর
১.১ "মন্দ কথায় কান দিয়ো না" – মন্দ কথার প্রতি কবির কীরূপ মনোভাব কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে?
👉 কবি বলেছেন, মন্দ কথায় কান দেওয়া উচিত নয়। কবির উদাসীন মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
১.২ "কেউ লেখেনি আর কোথাও" – কোন লেখার কথা এখানে বলা হয়েছে?
👉 এখানে অভিনব ছড়ার কথা বলা হয়েছে, যা আগে কোথাও লেখা হয়নি।
১.৩ "চিনবে তারা ভুবনটাকে" – কারা কীভাবে ভুবনটাকে চিনবে?
👉 যারা কান ও মন পেতে ছন্দ শুনবে, তারা ছন্দ-সুরের সংকেতে ভুবনকে চিনবে।
১.৪ "পদ্য লেখা সহজ নয়" – পদ্য লেখা কখন সহজ হবে বলে কবি মনে করেন?
👉 কবি মনে করেন, ছন্দে কান না দিলে পদ্য লেখা সহজ নয়।
১.৫ "ছন্দ শোনা যায় নাকো" – কখন কবির ভাবনায় আর ছন্দ শোনা যায় না?
👉 মন অশান্ত হলে বা মন্দ কথায় বিভ্রান্ত হলে ছন্দ শোনা যায় না।
২. বিশেষ্য ↔ বিশেষণ পরিবর্তন ও বাক্য রচনা
- ঝড় → ঝোড়ো → আজ ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
- মন → মনন → তার মননে নতুন ভাব এলো।
- ছন্দ → ছন্দময় → কবিতাটি ছন্দময়।
- দিন → দিনের → দিনের বেলায় পড়াশোনা করো।
- সুর → সুরেলা → তার গলা খুব সুরেলা।
- সংকেত → সংকেতমূলক → আলোটি সংকেতমূলক।
- দ্বন্দ্ব → দ্বন্দ্বমূলক → দ্বন্দ্বমূলক আলোচনা হলো।
- মন্দ → মন্দভাব → মন্দভাব প্রকাশ কোরো না।
- ছন্দহীন → ছন্দহীনতা → লেখায় ছন্দহীনতা আছে।
- পদ্যময় → পদ্যময়তা → কবিতায় পদ্যময়তা আছে।
- সহজ → সহজতা → কাজের সহজতা আমাদের ভালো লাগে।
৩. শব্দের ভিন্ন অর্থে ব্যবহার
- মন্দ – ফল মন্দ হলো। / সে মন্দ লোক নয়।
- দ্বন্দ্ব – দুই দলের দ্বন্দ্ব হলো। / তার মনে দ্বন্দ্ব চলছিল।
- তাল – গানের তাল সুন্দর। / তালের ডাল ভেঙে পড়ল।
- ডাক – পাখির ডাক শোনা গেল। / তাকে ডাক পাঠানো হলো।
- বাজে – ঢাক বাজে। / বাজে কথা বলো না।
- ছড়া – একটি ছড়া লিখেছি। / বাঁশের ছড়ায় আঘাত করল।
- মজা – খেলায় মজা পেলাম। / তার কথায় মজা আছে।
- নয় – নয়জন ছাত্র এলো। / সে ভালো নয়।
৪. মূল শব্দ
- জোছনা → জ্যোতি
- চাকা → চক্র
- কান → কর্ণ
- দুপুর → দ্বিপ্রহর
- ঝিঁঝি → অনুকার শব্দ
৫. কবিতার ভাষা → সাধারণ ভাষা
- ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে → ঝড়-বাদলে ছন্দ আছে।
- ছন্দে বাঁধা রাত্রি দিন → রাত্রি-দিন ছন্দে বাঁধা।
- কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন → কোনো কিছুই ছন্দহীন নয়।
- চিনবে তারা ভুবনটাকে / ছন্দ সুরের সংকেতে → তারা ছন্দ-সুরের সংকেতে ভুবন চিনবে।
- কান না দিলে ছন্দে জেনো / পদ্য লেখা সহজ নয় → জেনে রেখো, ছন্দে কান না দিলে পদ্য লেখা সহজ নয়।
৬. ‘কান’ শব্দের পাঁচটি ব্যবহার
- আমার কানে ব্যথা করছে।
- ভুল কথায় কান দিয়ো না।
- মনোযোগ দিয়ে কান পাতো।
- ছেলেটির কান মলা হলো।
- সে গান শুনছিল কানে।
৭. ‘ঝড়-বাদল’-এর সমার্থক
ঝড়-তুফান, ঝড়-ঝঞ্ঝা, বৃষ্টি-ঝড়, প্রলয়-ঝড়, ঝড়-ঝাপটা
৮. ছন্দযুক্ত যানবাহন
রেলগাড়ি, নৌকা, ঘোড়ার গাড়ি, সাইকেল, মোটরগাড়ি
৯. প্রাকৃতিক ঘটনায় ছন্দ
কান পেতে শোনা যায় – নদীর ঢেউ, ঝিঁঝিঁর ডাক, পাখির গান।
মন পেতে শোনা যায় – দিন-রাত্রির পালাবদল, ঋতুর পরিবর্তন, ফুল ফোটা।
১০. সমার্থক শব্দ
- জল – পানি
- দিন – বেলা
- রাত্রি – নিশি
- নদী – স্রোতিনী
- ভুবন – পৃথিবী
১১. শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য
- দিন = সময় / দীন = দরিদ্র
- মন = হৃদয় / মণ = রত্ন
- সুর = গান / শুর = শুরু
- সকল = সবাই / শকল = ক্ষতি
১২. সাপেক্ষ শব্দজোড়
যখন-তখন, যেমন-তেমন, এখানে-সেখানে
১৩. কবিতা থেকে সর্বনাম
কেউ, তারা, যারা
১৪. কবিতার সম্বন্ধ পদ
পাখির ডাকে, নদীর ছন্দে, ঝিঁঝিঁর ডাকে, ছন্দ-সুরের সংকেতে
১৫. উদ্দেশ্য ও বিধেয়
- ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে → উদ্দেশ্য: ছন্দ, বিধেয়: আছে ঝড়-বাদলে
- কেউ লেখেনি আর কোথাও → উদ্দেশ্য: কেউ, বিধেয়: লেখেনি আর কোথাও
- নৌকো জাহাজ দেয় পাড়ি → উদ্দেশ্য: নৌকো জাহাজ, বিধেয়: জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে পাড়ি দেয়
- চিনবে তারা ভুবনটাকে → উদ্দেশ্য: তারা, বিধেয়: ভুবনটাকে চিনবে ছন্দ-সুরের সংকেতে
১৬. কারক-বিভক্তি
- ছন্দে শুধু কান রাখো → ছন্দে = অধিকরণ কারক
- ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে → ঝড়-বাদলে = অধিকরণ কারক
- দিন দুপুরে পাখির ডাকে → দুপুরে = অধিকরণ, পাখির = সম্বন্ধ, ডাকে = অধিকরণ
- ছন্দে চলে রেলগাড়ি → ছন্দে = অধিকরণ
- চিনবে তারা ভুবনটাকে → ভুবনটাকে = কর্ম কারক

